Sunday, July 20, 2014

গুপ্তঘাতক রাগের কুফল ও রাগ প্রতিরোধের উপায়

ক্রোধ বা রাগ মানুষের চরম শত্রু । ক্রোধ সুন্দরকে মুহূর্তের মধ্যে কুৎসিত করে তোলে । রাগের কারণে কেউ আপনাকে শাস্তি দিক বা না দিক, রাগ বা ক্রোধ আপনাকে ঠিকই শাস্তি দিবে । সুতরাং রাগা যাবেনা । রেগে গেলেন তো হেরে গেলেন । হেরে গেলেন যার সাথে রাগ করলেন তার সাথে । হেরে গেলেন

রাগ বা ক্রোধ প্রতিরোধের উপায় ক্রোধ বা রাগ মানুষের চরম শত্রু । ক্রোধ সুন্দরকে মুহূর্তের মধ্যে কুৎসিত করে তোলে । রাগের কারণে কেউ আপনাকে শাস্তি দিক বা না দিক, রাগ বা ক্রোধ আপনাকে ঠিকই শাস্তি দিবে । সুতরাং রাগা যাবেনা । রেগে গেলেন তো হেরে গেলেন । হেরে গেলেন যার সাথে রাগ করলেন তার সাথে । হেরে গেলেন আপনার নিজের কাছে, আপনার শরীরের কাছে । আমেরিকার বিখ্যাত জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় এর এক গবেষণায় দেখা গেছে, যারা কোনও বিষয়ে রাগের সাথে আচরণ করে, তাদের হৃদরোগের ঝুকি ৫৫ বছর বয়স হওয়ার আগেই তিন গুন বেড়ে যায় । রাগান্বিত হবার ২ ঘন্টার মধ্যেই হার্ট অ‍্যাটাকের সম্ভাবনা গুন বেশি ।

রাগের কুফল

  • রাগের সময় এড্রেনালিন ও নরএড্রেনালিন হরমোনের নিঃসরণ বেড়ে যায়। এই হরমোন দুটি রক্তনালীকে সংকুচিত করে ও হৃদস্পন্দন বাড়ায়। ফলে রক্তচাপ ও বাড়ে । স্বাভাবিক মানুষের হৃদস্পন্দন হার যেখানে ৭০-৮০ রাগের সময় সেটা বেড়ে দঁাড়ায় ১৮০ । আবার রক্তচাপ ১২০/৮০ থেকে বেড়ে হয় ২২০/১৩০ মিলিমিটার পারদ চাপ ।এসব কারণে হার্ট অ‍্যাটাক হতে পারে । মস্তিস্কের অত‍্যন্ত সরু রক্তনালী ছিড়ে গিয়ে স্ট্রোক হতে পারে ।
  • রাগের সময় শরীরের রক্ত কণিকা অনুচক্রিকার মাধ্যমে রক্ত জমাট বঁাধার প্রবণতা বেড়ে যায় । এই জমাট বাধা রক্ত হৃৎপিন্ডের ধমনিতে প্রবেশ করলে হার্ট অ‍্যাটাক হতে পারে । আবার মস্তিস্কের সরু রক্তনালীতে গেলে হতে পারে ব্রেইন স্ট্রোক ।
  • রাগের সময় শরীরে অক্সিজেনের চাহিদা বেড়ে যায়। হার্টে অক্সিজেনের ঘাটতির জন্য বুকে ব্যথা হয়। আর বাড়তি অক্সিজেনের চাহিদা পুরণের জন্য শ্বাস-প্রশ্বাসের গতি বেড়ে যায় ।
  • ক্রোধের কারণে রক্তে চিনির পরিমাণ বেড়ে যায়।
  • রাগের সময় মাংসপেশিতে কঁাপুনি হয়। শরির তখন কঁাপতে থাকে ।
  • রাগের জন্য ঘাড় ও মাথার পেশির খিচুনি হয় । ফলে মাথা ব্যাথা অনুভূত হয় ও ঘুম চলে যায়।
  • পাকস্থলীতে বেশি এসিড নিঃসরণ হয়। যার ফলে পেপটিক আলসার হতে পারে ।
  • রাগিরা অসুখীই থাকে । একটু সুখের আশায় বিকল্প হিসেবে ধুমপান, মদ্যপান ইত্যাদির আশ্রয় নেয় । পরিণতিতে শরীরের আরও ক্ষতি হয় ।
অতএব, সুস্থতার জন্য আমাদেরকে রাগ প্রতিরোধ এবং নিয়ন্ত্রণ করতে হবে,রাগকে বাগে আনতে হবে ।

রাগ প্রশমন বা প্রতিরোধের উপায়

  • রেগে গিয়ে কোন বিষয়ে উত্তর দেবার আগে ১ থেকে ১০ পর্যন্ত গণনা করুন । আরও ভাল হয় যদি উল্টো গণনা করেন ।
  • প্রতিদিন ২০-২৫ মিনিট একাকী বসে ধ্যান করুন, সৎ চিন্তা করুন।
  • নিয়মিত ব্যায়াম করুন ।
  • আপনার যদি দঁড়ানো অবস্থায় রাগ আসে তাহলে বসে পড়ুন, আর যদি বসা অবস্থায় হয় তাহলে শুয়ে পড়ুন।
  • নিজেকে বোঝানোর চেষ্টা করুন যে রাগলে আপনারই ক্ষতি ।
  • রাগ প্রতিরোধে ব‍্যর্থ হলে মানসিক চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন ।

No comments:

Post a Comment