Thursday, September 4, 2014

যক্ষা রোগ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রন করার উপায়


<br /> যক্ষা প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রন করার উপায় <br />


মাইকোব্যাক্টেরিয়া টিউবারকিউলোসিস নামক এক প্রকার জীবাণূ দ্বারা হয় যক্ষা বা টিবি । শতকরা প্রায় ৮০ ভাগ ক্ষেত্রে এ রোগটি হয় ফুসফুসে । বাতাসে ভেসে থাকা জীবাণু শ্বাসের সঙ্গে ফুসফুসে প্রবেশ করে ।



Bangla Health Tips পর্বে এবারে থাকছে যক্ষা প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রনের উপায়

মাইকোব্যাক্টেরিয়া টিউবারকিউলোসিস নামক এক প্রকার জীবাণূ দ্বারা হয় যক্ষা বা টিবি । শতকরা প্রায় ৮০ ভাগ ক্ষেত্রে এ রোগটি হয় ফুসফুসে । বাতাসে ভেসে থাকা জীবাণু শ্বাসের সঙ্গে ফুসফুসে প্রবেশ করে । ফুসফুস থেকে পরে শরীরের অন্য অঙ্গেও ছড়িয়ে পড়তে পারে । রোগীর কাশি হয় , জ্বর হয় ,খাওয়ার রুচি ও ওজন কমে যায় কাশির সাথে অনেক সময় রক্ত বের হয় । আর সেই সাথে জীবাণু । অনুবীক্ষণ যন্ত্রের সাহায্যে কফ পরীক্ষা করে টা সনাক্ত করা হয় ।
যক্ষা বায়ুবাহিত একটি রোগ । রোগীর কফ থুতু থেকে জীবাণু ছড়িয়ে যায় । যেসব রোগীর কফ থুতুতে জীবাণু আছে তারা সংক্রামক । এ ধরণের রোগী পড়োটী বছর প্রায় কমপক্ষে ১০ জন সুস্থ লোককে যক্ষায় সংক্রমিত করে । সুতরাং লক্ষণ দেখা মাত্রই রোগ সনাক্ত করে এদের সুচিকিৎসা প্রয়োজন ।

বাংলাদেশে যক্ষা একটি বড় স্বাস্থ সমস্যা । বিশ্বের বাইশটি দেশে যক্ষা রোগ ব্যাপক জনস্বাস্থ্য সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত । এসব দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ষষ্ঠ । বিশ্ব স্বাস্থ সংস্থা ১৯৯৩ সাল থেকেই সারা বিশ্বে জরুরী হিসেবে আক্ষ্যায়িত করেছে । বাংলাদেশেও ঐ বছর থেকেই কার্যক্রম শুরু করেছে ।

DOTS পদ্ধতির আওতায় স্বাস্থ্যকর্মীর উপস্থিতিতেই রোগীকে ওষুধ সেবন করানো হয় এবং সবখানে বিনামূল্যে চিকিৎসা দেয়া হয় । সরাসরি চিকিৎসা হওয়ায় রোগীর সম্পুর্ণ সুস্থ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি । যক্ষার সঠিক চিকিৎসায় ২৫% মৃত্যু কমানো সম্ভব বলে মনে করা হয় ।

রোগী খুঁজে রোগ নির্ণয়

যক্ষা প্রতিরোধের সবচেয়ে ভালো উপায় হলো, যেসব রোগীর কাশিতে জীবাণু পাওয়া যায় ,তাদেরকে সনাক্ত করে সুচিকিৎসার মাধ্যমে সারিয়ে তোলা । সুতরাং যাদের যক্ষার লক্ষন আছে ,যেমন তিন সপ্তাহের অধিক সময় ধরে কাশি ,তাদেরকে রোগ সনাক্তকরনের আওতাই আনতে হবে । বাড়িতে কারও যক্ষা হলে ঐ বাড়ির সবাইকে পরীক্ষা করে দেখতে হবে ।

টীকা

যক্ষা প্রতিরোধক টীকার নাম বিসিজি টীকা । জন্মের পর পরই এ টীকা দিতে হয় । এই টীকা শিশুকে যক্ষা থেকে রক্ষা করে ।

স্বাস্থ্য সচেতনতা

রোগীর কফ থুতু যেখানে সেখানে না ফেলে স্বাস্থ্য সম্মত উপায়ে সরিয়ে ফেলতে হবে । বাড়ীঘর হওয়া চাই স্বাস্থ্য সম্মত । এতে যেন পর্যাপ্ত আলো বাতাস খেলে । পরিবারের সদস্যের যেন গাদাগাদি অবস্থা না হয় । শারীরিক পুষ্টির দিকটাও দেখতে হবে । অপুষ্টির শিকার হলে যক্ষায় আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা বেশি । স্বাস্থ্য কর্মীসহ সমাজের সকল সচেতন নাগরিককেই যক্ষা নিয়ন্ত্রন ও প্রতিরোধে এগিয়ে আসতে হবে ।

2 comments: