পায়ের এই দুর্গন্ধের কারণ কি?
আমাদের শরীরের ত্বকে আছে প্রায় 20 লাখ থেকে 50 লাখ ঘর্মগ্রন্থি । এদের সং্খা পায়েই বেশি, প্রায় 5 লাখ । পদযুগল যখন জুতার ভেতরে থাকে, তখন অনেকের ক্ষেত্রেই সেগুলো বেশ ঘামে। শরীরের ঘামের সংগে বের হয় পানি,খনিজ লবণ, তেল, চর্বি এবং শরীরের আরও বিপাকীয় পদার্থ। পায়ের ত্বকে থাকা হাজারো জীবাণু বেচে থাকতে বা বংশ বৃদ্ধি করতে ঘর্মাক্ত পায়ের এসব ঘাম খেতে উঠেপড়ে লাগে । এর ফলে তৈরি হতে থাকে নানা উচ্ছিষ্ট। এদের মধ্যে 'আইসোভ্যালেরিক' অন্যতম। এই এসিডের জন্যই পায়ের দুর্গন্ধ হয় ।
তাহলে আমরা স্বাস্থ্য টিপসের এ পর্বে জেনে নেব পায়ের দুর্গন্ধ কিভাবে দুর করব ।
পায়ের দুর্গন্ধ দুর করার উপায়:
- পা পরিস্কার রাখুন। প্রতিদিন একাধিক বার পা ধুয়ে নিন। সাবান পানি দিয়ে ধোয়ায় ভাল। Anti-bacterial soap হলে আরও ভাল হয়। হালকা গরম পানিতে সাবানের ফেনা করে পা ধুয়ে নিন । এতে ত্বকে থাকা জীবাণুর সং্খা কমবে।
- জুতা বা মোজা পায়ে দেয়ার আগে ভালো করে পা শুকিয়ে নিন । দীর্ঘক্ষণ পরে থাকার কারণে জুতার ভেতরে পা ভেজা ভেজা লাগলে কিছুক্ষণ জুতা খুলে রাখুন ।
- সুতি মোজা ব্যবহার করুন । সুতি মোজা পায়ের ঘাম শোষণ করে নিতে পারে । মোজা ধুয়ে নিন এবং প্রতিদিন ধোয়া পরিস্কার মোজা ব্যবহার করুন।
- খোলা স্যান্ডেল পায়ে দিন। স্যু যদি পায়ে দিতেই হয় তাহলে, চামড়ার বা কাপড়ের স্যু ব্যবহার করুন। তাতে বাইরের বাতাস ভেতরে যাওয়া আসা করতে পারবে। বাসায় ফিরে জুতা শুকাতে দিন। একরাতে নাও শুকাতে পারে । রোদে দিন। যদি পারেন একজোড়া জুতা পরপর দুদিন পায়ে দেয়া থেকে বিরত থাকুন ।
- জুতার ভেতরে talcum powder, বরিক acid বা দুর্গন্ধনাশক ব্যবহার করতে পারেন ।
- পায়ের নখ ছোট রাখুন তাহলে। তাহলে জীবাণু লুকিয়ে থাকার জায়গা অনেক কমে যাবে।
- দুশ্চিন্তা, মানসিক চাপ কমান। এসবে শরীর ঘামে বেশি, পাও ঘামে বেশি। ফলে পায়ের দুর্গন্ধ হওয়ার সম্ভাবনাও বেড়ে যায়।
No comments:
Post a Comment