Wednesday, August 13, 2014

কোষ্ঠকাঠিন্য নিয়ে দুশ্চিন্তা! জেনে নিন কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ ও প্রতিকারের উপায়

রায় প্রত্যেকেই তার জীবনের কোনো না কোন সময় কোষ্ঠকাঠিন্য রোগে ভোগেন । কারও ক্ষেত্রে এটা সাময়িক, কারও ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদী । মহিলা ও বৃদ্ধদের কোষ্ঠকাঠিন্য বেশি হয় । কোষ্ঠকাঠিন্য যে খুব মারাত্বক কোন কিছু

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার উপায় প্রায় প্রত্যেকেই তার জীবনের কোনো না কোন সময় কোষ্ঠকাঠিন্য রোগে ভোগেন । কারও ক্ষেত্রে এটা সাময়িক, কারও ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদী । মহিলা ও বৃদ্ধদের কোষ্ঠকাঠিন্য বেশি হয় । কোষ্ঠকাঠিন্য যে খুব মারাত্বক কোন কিছু তা কিন্তু নয় ।

কাকে বলে কোষ্ঠকাঠিন্য

কোষ্ঠকাঠিন্যের মানে একেক জনের কাছে একেক রকম । কেউ মনে করেন কোষ্ঠকাঠিন্য মানে শক্ত পায়খানা । কেউ বলেন, পায়খানা করতে প্রচুর চাপ প্রয়োগ করতে হয় । আবার কেউ কেউ বলেন পায়খানা "শেষ হইয়াও হইল না শেষ" । পায়খানা করতে এই যে কষ্ট একেই বলে কোষ্ঠকাঠিন্য । সপ্তাহে তিনবারের কম পাতখানা সেটাও কোষ্ঠকাঠিন্য । সুতরাং কোষ্ঠকাঠিন্য বলতে শক্ত পায়খানা, বেশি কোথ দেয়া ছাড়া পায়খানা না হওয়া, সপ্তাহে তিনবারের কম পায়খানা হওয়া - এগুলোর যেকোনটিকেই বোঝায় ।

কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণ কি ?

কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণ অনেক । অপর্যাপ্ত পানি পান করা, খাবারে আঁশ কম থাকা, শরীরের নড়াচড়া কম হওয়া বা শারীরিক ব‍্যায়াম কম করা, পায়খানার বেগ চেপে রাখা, প্রতিদিনের পায়খানার সময় পরিবর্তন ,হরমোন যেমন, হাইপোথায়রয়েড,গর্ভাবস্থা,স্ট্রেস, দীর্ঘদিন পায়খানা নরম করার ওষুধ বা ল্যাক্সেটিভ সেবন করা, আয়রন ট্যাবলেট সেবন করা, পায়ুপথের সমস্যা যেমন অর্শ ,খাদ্যনালীর ক্যান্সার ইত্যাদি কারণে কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে । কোষ্ঠকাঠিন্য যে কারণেই হোক, এটা হলে পায়খানা করতে কষ্ট হয়,পেটে ব্যথা হতে পারে, পেট ফুলে যেতে পারে এবং বমিও হতে পারে ।

কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিকারের উপায়

পানি বেশি বেশি পান করুন । সকালে কুসুম গরম পানি হলে ভাল হয় । খাবারের তালিকায় শাক-সব্জি ও ফলমুলের পরিমাণ বাড়িয়ে দিন । ইসপগুলের ভুসি পানিতে ভিজিয়ে খান । পায়খানা নরম করার ওষুধ যেমন মিল্ক অব ম্যাগনেসিয়া,লেক্সেনা ট্যাবলেট সেবন করতে পারেন চিকিৎসকের পরামর্শমত । মলদ্বারে গ্লিসারিন সাপোজিটরি কিংবা ইনোমা প্রয়োজন হতে পারে । কোষ্ঠকাঠিন্য দুই সপ্তাহের বেশি স্থায়ী হলে, পায়খানার সাথে রক্ত গেলে,পায়খানার সময় খুব বেশি ব্যথা হলে, শরীরের ওজন কমে গেলে অবশ্যই ডাক্তারের কাছে যেতে হবে ।

কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধের উপায়

প্রচুর আঁশ সমৃদ্ধ সুষম খাবার খেতে হবে । ফলমুল আর শাক-সব্জি আঁশের প্রধান উৎস । পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করুন । খাবারের আঁশ ও পানি পায়খানা নরম রাখবে । নিয়মিত ব্যায়াম করুন । পায়খানার বেগ হলে তা চেপে না রেখে সেরে ফেলুন । প্রতিদিন একটা নির্দিষ্ট সময়ে পায়খানার অভ্যাস গড়তে হবে । এসব অভ্যাস গড়ে তুললে দেখবেন কোষ্ঠকাঠিন্য হবার সম্ভাবনা অনেক কমে গেছে ।

No comments:

Post a Comment