Sunday, July 27, 2014
উচ্চ রক্তচাপের ব্যাপারে সাবধান হোন
Monday, July 21, 2014
মরণব্যধী ক্যান্সার প্রতিরোধে সচেতন হোন
- ধুমপান
- পান- জর্দা -পাতা খাওয়া
Sunday, July 20, 2014
গুপ্তঘাতক রাগের কুফল ও রাগ প্রতিরোধের উপায়
Friday, July 18, 2014
জেনে নিন সঠিকভাবে বসার নিয়ম
Saturday, July 12, 2014
জেনে নিন হৃদরোগ প্রতিরোধের সাতটি উপায়
- খাদ্যাভাস ।
- শারীরিক পরিশ্রম বা ব্যায়াম ।
- শরীরের ওজন এবং চর্বি ।
- রক্তচাপের মাত্রা।
- পেট খালি থাকা অবস্থায় রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা ।
- রক্তে চর্বির মাত্রা এবং
- ধুমপান ।
খাদ্যাভাস গড়ুন হৃদবান্ধব
খাবার হতে হবে স্বাস্থ্যকর বা হৃদবান্ধব। চাই প্রচুর শাক-সব্জি । চাই প্রচুর ফলমূল । খাদ্যতালিকার মোট সব্জি ও ফলমুলের তিন ভাগের একভাগ কঁাচা খেতে পারলে বেশি ভাল । খাবার মেন্যুতে তেল চর্বি হতে হবে কম। তবে ওমেগা 3 ফ্যাটি এসিড থাকতে হবে খাবারে । মাছের তেলে আছে ওমেগা -3 ফ্যাটি এসিড । চিনি, মিস্টি এসব খেতে হবে কম।ব্যায়াম করুন নিয়মিত
শারীরিক ব্যায়াম জরুরী অবশ্যই । হঁাটতে হবে দৈনিক ৩০ মিনিট ধরে। এক সাথে সম্ভব না হলে ১০ মিনিট করে সকালে, দুপুরে ও রাতে । যাদের শরীর মোটা নয়, শরীরে যাদের চর্বি আছে বলে মনে হয়না, তাদেরও শরীরে নানা অংশে কিন্তু চর্বি ঠিকই আছে । সুতরাং তাদেরও হাটা প্রয়োজন ।সঠিক রাখুন শরীরের ওজন ও চর্বি
হৃদরোগ প্রতিরোধ করার জন্য শরীরের ওজন ও চর্বি ঠিক রাখা অনেক গুরুত্বপূর্ণ । শরীরের ওজন আর উচ্চতার অনুপাতকে বডি মাস ইনডেক্স, সংক্ষেপে 'BMI ' দিয়ে প্রকাশ করা হয়। BMI 18.5 থেকে 24.9 হলে তা স্বাভাবিক। 25-30 হলে বুঝা যাবে শরীরের ওজন বেশ বেশি। BMI 30 এর বেশি হওয়া মোটেও ভাল নয়। আবার বয়স্ক পুরুষের ক্ষেত্রে কোমরের মাপ 36 Inchi আর মহিলাদের ক্ষেত্রে 31 Inchi এর বেশি হওয়া হৃদবান্ধব নয়।
গ্রহণযোগ্য রাখুন রক্তচাপের মাত্রা
অনিয়ন্ত্রিত রক্তচাপ হৃদরোগ স্ট্রোকের কারণ হতে পারে । এজন্য নিয়ন্ত্রনে রাখা চাই রক্তচাপ । রক্তচাপকে রাখতে হবে ১২০/৮০ এর আশেপাশেই । প্রয়োজন লাইফস্টাইলে পরিবর্তন ।খালি পেটে রক্তের গ্লুকোজের মাত্রা রাখুন সঠিক
হৃদরোগ প্রতিরোধ করতে হলে খালি পেটে প্রতি ১০০ মিলিলিটার রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা থাকতে হবে ১০০ মিলিগ্রাম এর নিচে । এ জন্য করতে হবে নিয়মিত ব্যায়াম । চিনি বা মিষ্টি কম খেতে হবে ।সঠিক রাখুন রক্তে চর্বির মাত্রা
প্রতি 100 মিলিলিটার রক্তে মোট কোলেস্টেরল মাত্রা থাকতে হবে 200 মিলিগ্রাম এর নিচে । পাশাপাশি এইচডিএল/কোলেস্টেরল অনুপাত এবং এইচডিএল / ট্রাইগ্লিসারাইড অনুপাত নিয়েও ভাবতে হবে । এইচডিএল / কোলেস্টেরল অনুপাত 24% এর বেশি হলে হার্টের জন্য ভাল কিন্তু ১০% এর কম হলে তা ঝুঁকিপূর্ণ । কম চর্বি যুক্ত খাবার খেলে আর নিয়মিত ব্যায়াম করলে রক্তে চর্বির মাত্রা ঠিক থাকবে ।বর্জন করুন ধুমপান
ধুমপান কোনমতেই হৃদযন্ত্রের জন্য ভাল নয়। এ বদঅভ্যাসের জন্য হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা বেড়ে যায় । তাই হৃদরোগ প্রতিরোধ করতে হলে ধুমপান অবশ্যই বর্জন করতে হবে।Friday, July 11, 2014
পায়ের দুর্গন্ধ নিয়ে সমস্যা ও তার প্রতিকার
পায়ের এই দুর্গন্ধের কারণ কি?
আমাদের শরীরের ত্বকে আছে প্রায় 20 লাখ থেকে 50 লাখ ঘর্মগ্রন্থি । এদের সং্খা পায়েই বেশি, প্রায় 5 লাখ । পদযুগল যখন জুতার ভেতরে থাকে, তখন অনেকের ক্ষেত্রেই সেগুলো বেশ ঘামে। শরীরের ঘামের সংগে বের হয় পানি,খনিজ লবণ, তেল, চর্বি এবং শরীরের আরও বিপাকীয় পদার্থ। পায়ের ত্বকে থাকা হাজারো জীবাণু বেচে থাকতে বা বংশ বৃদ্ধি করতে ঘর্মাক্ত পায়ের এসব ঘাম খেতে উঠেপড়ে লাগে । এর ফলে তৈরি হতে থাকে নানা উচ্ছিষ্ট। এদের মধ্যে 'আইসোভ্যালেরিক' অন্যতম। এই এসিডের জন্যই পায়ের দুর্গন্ধ হয় ।
তাহলে আমরা স্বাস্থ্য টিপসের এ পর্বে জেনে নেব পায়ের দুর্গন্ধ কিভাবে দুর করব ।
পায়ের দুর্গন্ধ দুর করার উপায়:
- পা পরিস্কার রাখুন। প্রতিদিন একাধিক বার পা ধুয়ে নিন। সাবান পানি দিয়ে ধোয়ায় ভাল। Anti-bacterial soap হলে আরও ভাল হয়। হালকা গরম পানিতে সাবানের ফেনা করে পা ধুয়ে নিন । এতে ত্বকে থাকা জীবাণুর সং্খা কমবে।
- জুতা বা মোজা পায়ে দেয়ার আগে ভালো করে পা শুকিয়ে নিন । দীর্ঘক্ষণ পরে থাকার কারণে জুতার ভেতরে পা ভেজা ভেজা লাগলে কিছুক্ষণ জুতা খুলে রাখুন ।
- সুতি মোজা ব্যবহার করুন । সুতি মোজা পায়ের ঘাম শোষণ করে নিতে পারে । মোজা ধুয়ে নিন এবং প্রতিদিন ধোয়া পরিস্কার মোজা ব্যবহার করুন।
- খোলা স্যান্ডেল পায়ে দিন। স্যু যদি পায়ে দিতেই হয় তাহলে, চামড়ার বা কাপড়ের স্যু ব্যবহার করুন। তাতে বাইরের বাতাস ভেতরে যাওয়া আসা করতে পারবে। বাসায় ফিরে জুতা শুকাতে দিন। একরাতে নাও শুকাতে পারে । রোদে দিন। যদি পারেন একজোড়া জুতা পরপর দুদিন পায়ে দেয়া থেকে বিরত থাকুন ।
- জুতার ভেতরে talcum powder, বরিক acid বা দুর্গন্ধনাশক ব্যবহার করতে পারেন ।
- পায়ের নখ ছোট রাখুন তাহলে। তাহলে জীবাণু লুকিয়ে থাকার জায়গা অনেক কমে যাবে।
- দুশ্চিন্তা, মানসিক চাপ কমান। এসবে শরীর ঘামে বেশি, পাও ঘামে বেশি। ফলে পায়ের দুর্গন্ধ হওয়ার সম্ভাবনাও বেড়ে যায়।
Tuesday, July 8, 2014
মুখের দুর্গন্ধ নিয়ে সমস্যা ও তার প্রতিকার
আমাদের মুখে স্বাভাবিকভাবে বসবাস করে হাজারো ব্যাকাটেরিয়া। এ জীবানুগুলোর বেশিরভাগ থাকে খসখসে জিহবার পেছনের অংশে উপরিভাগে ,থাকে দঁাত ও মাড়ির ফাঁকেফাঁকে। আমরা যে খাবার খায় সেগুলো দঁাতের ফাকে লেগে থাকে। জীবাণু গুলি এসব খাবার খেয়ে বেচে থাকে। আমাদের মুখের ভেতরের খাদ্যকণা ভেঙ্গে দুর্গন্ধময় গ্যাস উৎপন্ন হয়। এই গ্যাসই কথা বলার সময় বেরিয়ে আসে।
দুর্গন্ধটা হতে পারে সাময়িক । কিছুক্ষণ থাকে, কিছু খাওয়ার পর বা পান করার পর বা মুখ ধোয়ার পর গন্ধটা চলে যায়। রসুন, পেয়াজ, মুলা ইত্যাদি খাওয়ার পর কিংবা ধুমপান করার পর মুখে সাময়িক গন্ধ লেগে থাকতে পারে। কিন্তু প্রায় 25 শতাংশ ক্ষেত্রে মুখের দুর্গন্ধটা হয় স্থায়ী। সাধারণত ঘুমের পর এটা বেশি হয় কারণ এ সময় মুখ বন্ধ থাকে।
দুর্গন্ধটা অনেকসময় ভীষণ বিরক্তিকর হয়ে দঁাড়ায়। বিরক্তি লাগে নিজের কাছেও। বন্ধু-বান্ধবী বা সহকর্মীর সামনে কথা বলতে ইতস্তত বোধ হয়। কথা হয় নিচু স্বরে। কথা বলতে গিয়ে যদি মুখের দুর্গন্ধটা বের হয়ে যায় ! লজ্জাকর ব্যাপার । মুখের দুর্গন্ধ দুর করা তখনই জরুরি হয়ে পড়ে।
মুখের দুর্গন্ধ দুর করতে নিচের পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করা যেতে পারে :- নিয়মিত মুখের পরিচর্যা করা খুবই গুরুত্ব পুর্ণ । মুখের ভেতরে খাবারের ক্ষুদ্র কণা যেন লেগে থাকতে না পারে, সেজন্য প্রতিবার খাবারের পর অবশ্যই দঁাত মেজে মুখ পরিস্কার করুন। জিহ্বাও পরিস্কার করুন। সেই সাথে মাউথওয়াশও উপকারী।
- ঘন ঘন পানি বা অন্য কোন তরল পান করুন। এতে কিছু খাবারের কণা ধুয়ে যাবে। দুর্গন্ধ. সৃষ্টিকারী গ্যাসও ধুয়ে যাবে।
- মুখের লালা খাদ্যকণা, জীবাণু ধুয়ে মুছে পরিস্কার করতে সাহায্য করে । মুখে লালা তৈরি করতে লবংগ, চুয়িংগাম ইত্যাদি চিবোতে পারেন।
- বাইরে লোকসমাগমে যাওয়ার আগে কঁাচা পঁেয়াজ,রসুন ইত্যাদি খাবার পরিহার করুন।
- ধুমপান, মদ্যপান পরিহার করুন
- নিয়মিত দঁাত ও মুখের check up করান।
- দঁাত ও মাড়ির ইনফেকশন, শাইনোসাইটিস, টনসিলাইটিস, শ্বাসনালির ইনফেকশন, ফুসফুসের ইনফেকশন, লিভারের অসুখ - এসবের কোনটির কারণে মুখের দুর্গন্ধ হয়ে থাকলে তার চিকিৎসা নিন।